শুল্ক ইস্যুতে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার (১৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তৃতীয় রাউন্ড আলোচনার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এবং অর্থনৈতিক কিছু বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করলাম, আরও করবো। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সার্বিকভাবে সবাই একত্রে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক এবং আলোচনা যথেষ্ট এগিয়ে নিয়েছি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুন্দর সুন্দর কিছু পরামর্শ পেয়েছি। সেগুলোকে কাজে লাগাবো। তৃতীয় ধাপের আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাইবো। হয়তো সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ সে সময়টি পেয়ে যাবো। আশা করি যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, যদি তুলনামূলকভাবে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান তা তৈরি হয়; তাহলে আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব সক্ষমতা দিয়ে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে। বাংলাদেশে মনে করে যৌক্তিক শুল্ক হচ্ছে শূন্য।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট আছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তাই চুক্তি বিষয়ক কোনো প্রশ্নের জবাব দেবো না। দু’দেশই বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায়। আলোচনায় বাণিজ্যের ঘাটতি পরিমাপ করা হয়েছে। এ ঘাটতি উভয় দেশই কমাতে চায়। চুক্তির ব্যাপারে 'নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট' যেহেতু হয়েছে সেগুলো ডিসক্লোজ করা হবে না।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান আজ বলেছেন, শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ দেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের অভিঘাত। সেকারণে সেভাবে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করছি। বাংলাদেশের ওপর যেন এই পরিমাণ শুল্কের আঘাত না আসে সে জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সবাই এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। হয়তো শিগগিরই গিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। আশা করি, আগামী ১ আগস্টের আগেই আমাদের কাজ শেষ করবো। চুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ চলছে।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আজকের আলোচনা থেকে যতোটা বুঝেছি, সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নেগোসিয়েশন করছে এবং সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আলোচনা করেছেন বা করছেন সে ব্যাপারে আমরা সন্তুষ্ট।