বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ালীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে। তিনি বলেন,গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং জাতীয় একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যের দিকে তারা নিয়ে যাচ্ছেন। সেটাকে দয়া করে বাধাগ্রস্ত না করা আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, জাতীয় সংসদে হামলা করার ইতিহাস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরই আছে। এ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই আওয়ামী লীগ, যারা জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে। জাতীয় সংসদকে আঘাত করা আওয়ামী লীগের পেশা এবং আওয়ামী লীগের নেশা।
আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্লেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, গতকালকে বাংলাদেশে এক বিশাল ঘটনা ঘটেছে। জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টদের অন্যতম সহযোগী তৎকালীন আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, তিনি একজন আসামি ছিলেন। তিনি গতকালকে আদালতে স্বীকার করেছেন যে, গণহত্যা চালানোর জন্য তিনিও দায়ী এবং তিনি নির্দেশ পেয়েছিলেন শেখ হাসিনার কাছ থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা বিরল। এখন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন হলেন রাজসাক্ষী এবং শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন আসামি। আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তো আওয়ামী লীগকে সাময়িকভাবে (কার্যক্রম) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আর শেখ মুজিব তো আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করে গিয়েছিলেন। মেরে ফেলে গিয়েছিলেন, হত্যা করে গিয়েছিলেন। এ সরকার তো সেইটা অন্তত করেনি। শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে গিয়েছিলেন। সেই আওয়ামী লীগকে কবর থেকে তুলে জীবন্ত করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। আমরা সেই দলের রাজনীতি করি। আমরা সংসদকে মাথার ওপরে স্থান দেই। আমরা শান্তির পক্ষে, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সম্মান জানানোর পক্ষে। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে ঠিক তার উলটো। আওয়ামী লীগ সংসদকে অপবিত্র করার পক্ষে। বিরোধী দলকে নির্বংশ করার পক্ষে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য গণহত্যাসহ যা কিছু করার প্রয়োজন তার পক্ষে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার সন্তান কিংবা আমার সন্তানের পরবর্তী প্রজন্ম এখন যদি মুরুব্বীদের মত কথা বলে, এটা বেমানান। দয়া করে একটু সংযত হোন। গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং জাতীয় একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যের দিকে আমরা যখন যাচ্ছি, সেটাকে দয়া করে কেউ বাধাগ্রস্থ করবেন না। প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
আ. দৈ./ কাশেম