ছিলো স্বামী সন্তান। তাদের বিদেশে রেখেই বাংলাদেশে আসেন জেবা, আশ্রয়স্থলে পরিণত হন মরণ ব্যধি ক্যান্সারে স্ত্রী হাবানো নির্মানখাত ব্যবসায়ী-শিল্পপতি মোকারম হোসেইন খান ও তার পরিবারের।
একসময় জেবা নিজের ঋণগ্রস্থ জীবনের কষ্টের কথা জানান স্বামীকে। বলেন যুক্তরাজ্যে দেনার দায়ে জর্জরিত তিনি। স্ত্রীকে মানসিক শান্তি দিতে পাই পাই ঋণ শোধ করেন মুকাররম।
দ্বিতীয় দফায় স্ত্রীর সাধ জাগে ঝালকাঠিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার। আদরের স্ত্রী বলে কথা। প্রতিষ্ঠানের টাকায় গড়ে দেন মসজিদ। এলাকার মানুষের নৈকট্য লাভের আশায় যে কোন রাজৈনতিক কর্মসূচীতে উড়তে থাকেন টাকা।
এরই মাঝে ঘর আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে এক কন্যা সন্তান।ঠিক তখনই পাল্টে যেতে শুরু করে জেবার চরিত্র। এমনিতেই বিয়ের পর থেকেই নিজের সৎ মা হওয়ার প্রকৃত চেহারা মোকারমে প্রথম ঘরের দুই সন্তানকে দেখিয়ে আসছিলেন জেবা, তারই মাঝে বোম ফাঁটে জলজ্যান্ত চলতি দায়িত্বে থাকা প্রবাসী স্বামী ও সন্তানের তথ্য যখন পৌঁছে মোকারমের কানে।
এক ঘরে যেমন দুই পীর থাকাটা জটিল তেমনি সমাজ ও, ধর্ম একজন নারীর এসাথে দুজন পুরুষের সংসার করাটা অবৈধ হিসেবে গণ্য করে। যদিও এতে জেবার কোন সমস্যা ছিলোনা তবে বাঁধ সাধেন মোকাররম।
সুখী দাম্পত্য জীবনের গল্পটি গড়ার আদলতে। এরই মাঝে রাজনৈতিক পরিচয়ে ক্যাপিটাল বালমোরাল অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তিনটি ফল্যাটের মাঝে কোম্পানীর নামে থাকা একটিতে দখল নেন জেবা। যার মামলা এখনো আদালতে চলমান।
২০১৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে অনেকটাই-যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচেন মুকাররাম হোসাইন খান। সব ঠিক ঠাকই চলছিলো। তবে হায়! সুখ সইলো না কপালে। ২৭ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে অবস্থানের সময় ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার ২, ইউএন রোডের বাড়ির তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজনসহ সন্ত্রাসী কায়দায় একই ভবনের ৪র্থ তলার দুটি ফল্যাট ২০১ ও ৪০১ দখলের চেষটায় হামলা ও হীরা ও সোনার অলংকার লুটপাট এবং ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে আট বছর আগে তালাক হওয়া জেবা আমিন আহমেদ খানের বিরুদ্ধে।।
তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দখল দারিত্ব ঠেকিয়ে দেয় স্থানীয় থানা পুলিশ। এরপর আবারও উল্টে যায় গণেষ। মোকারম সাহেবের ফ্ল্যাট থেকে মানুষ তো মানুষ বেড় করে দেয়া হয় পোষা বেড়ালদের। কাগজে কলমে না দালিলিক মালিকানা থাকার পরও ফ্ল্যাট থেকে বিতারিত মোকাররমের কন্যা পুত্র ও তাদের পরিবার।
অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে ভোল পাল্টে ফেলেছে পুলিশ। গরিমসি করছে মূল মালিককে ফ্ল্যাটটির চাবি বুঝিয়ে দিতে। অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র শফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান বিষয়টি তদন্তাধীন।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে জেবা জানান, ঘটনাটি উল্টো ঘটেছে। আমীর হোসেন আমুর লোক বিএনপির অবমূর্তি নষ্টে এ কাজ করছে। একটি ফ্ল্যাট নিয়ে আছে আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় আছে। আর এসব সম্পদ নিজের বলেও দাবি করেন তিনি।