বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের বিরোধিতা যারা করেন, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। তারা বিরোধিতা করেন বলেই জামায়াতের চর্চা বেশি বেশি হয়। ফলে যেখানে আমরা সহজে পৌঁছাতে পারতাম না, তারা সেখানে পৌঁছে দেয়।’
তিনি বলেন,‘বৈষম্য এখনো দূর হয়নি। সাময়িক একটা স্বস্তি এসেছে। আমরা ছোটখাটো সমস্ত বৈষম্য দূর করব, ইনশাআল্লাহ। আগস্ট বিপ্লব আমাদের হুদাইবিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে এই বাংলাদেশ পাল্টাবে কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। যারা বুক পেতে লড়াই করেছে তাদেরকে শেষ দ্বীনের জন্য আল্লাহ কবুল করেন।’
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলার ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আরজ করি, আল্লাহ এই নামটা (জামায়াত) অন্তত পৌঁছে গেছে, এখন এই নামটা শুদ্ধভাবে পৌঁছায়ে দেন। পাবনার একটি ঘরও বাকি থাকবে না যেখানে আমরা তাওহিদের দাওয়াত পৌঁছাব না। আল্লাহর সৃষ্টি যা আছে সবগুলোকে সম্মান করতে হবে। মানুষকে মানুষ হিসেবে মনে করব এবং আল্লাহর পথে ডাকব।’
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হুসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেম, সিরাজগঞ্জ জেলা আমির অধ্যক্ষ শাহিনুর আলম, নাটোর জেলা আমির ড. মীর নূরুল ইসলাম ও পাবনা জেলার সাবেক আমির আব্দুর রহিম প্রমুখ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রুকনরা হলেন সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি। রুকনদের কর্ম-তৎপরতার ওপরই সংগঠনের সফলতা নির্ভর করে। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাজে দাওয়াতি কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। রাসূল সা:-এর আদলে দেশে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। এ কাজে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
রুকন সম্মেলনের পর দুপুরে তিনি পাবনা দারুল আমান ট্রাস্টে পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে দেখা ও মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেলে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আ. দৈ. /কাশেম