জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে আমন্ত্রিত সব রাজনৈতিক দল উপস্থিত থাকলেও আসেনি জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপের বিরতিতে বিষয়টির প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলে, ‘এ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন মন্তব্য করবে, আমরা না।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আস্থা ভোট ও অর্থ বিল— এই দুই বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয়ে সার্বিক ঐকমত্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আরও কয়েকটি দল তাদের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনী বিলের সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান যুক্ত করেছে। আমাদের পক্ষ থেকেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করেছি, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় যেমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সংসদ সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন না— সিদ্ধান্ত হয়েছে। আস্থা ভোট ও অর্থ বিল জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে এবং এতে সবাই স্বাক্ষর করবেন। বাকি দুই বিষয়ে আমাদের অবস্থান সংযুক্ত থাকবে এবং আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তা অন্তর্ভুক্ত করব।’
জাতীয় সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, ইস্টিমেশন কমিটি এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটিগুলোতে সভাপতির পদ আসনের ভিত্তিতে বিরোধীদল প্রাপ্ত হবে। এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে।
তিনি বলেন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০০ আসনের প্রস্তাব নিয়েও সর্বসম্মত মত হয়েছে। তবে এই আসনগুলোর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।