ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের চাকরিতে সীমাহিন বৈষম্য,দলীয়করণ, জুলুম, নির্যাতন এবং স্বৈরাশাসনের প্রতিবাদে গতবছর জুলাই মাসে সারাদেশে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শুরুতেই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত আগামি এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামি ১৫ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। । ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য বিচারক হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম। তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারব। এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় ৪ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সকালে প্রিজনভ্যানে করে সাবেক এস আই আমির হোসেন, কন্সটেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ৯ এপ্রিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১৫ জুনের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাইদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন সাবেক এ এস আই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। আর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী এমরান চৌধুরী আকাশসহ আরও অনেকে ইন্ধন যুগিয়েছিলেন। অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা ওই আসামিদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জানায় প্রসিকিউশন।
এছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়িতে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় চাওয়া হয়েছে। হৃদয়ের মরদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। পরে ১৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি হত্যা মামলায়ও পুলিশের সহকারী কমিশনার তানজিল আহমেদ ও সাবেক ওসি আবুল হাসানের বিরুদ্ধেও ১৭ আগস্টের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়।
আ. দৈ./কাশেম