টঙ্গী এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সুমন হোসেন শেখকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা হিসেবে সুমনের রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি যুবদলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি দলীয়ভাবে ‘বাইটার’ পোস্টের জন্য প্রস্তাব দেয়ার পর থেকেই প্রতিপক্ষরা তাকে টার্গেট করতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে শৈশবের বন্ধুত্ব ও ক্লাসমেট হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ওই ছবি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং দলীয় বিভ্রান্তি তৈরির পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি শুরু করেন।
সুমনের পরিবারের দাবি, এই মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার পিতা দলিল উদ্দিন বলেন, “আমার ছেলে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছে। একাধিক মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবারও একটি পরিকল্পিত মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।”তিনি আরও জানান, টঙ্গী পশ্চিম থানার খা পাড়া পাঞ্জু খান রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন তারা। ছেলের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তার মা আয়েশা বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গাজীপুর জেলা বিএনপি ও যুবদল নেতৃবৃন্দ। তারা অবিলম্বে সুমন হোসেন শেখের মুক্তি দাবি করেছেন এবং প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
আ. দৈ. /কাশেম