পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) প্রলয় কুমার জোয়ারদারের চার দেশে ৬টি বাড়ি থাকা নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেটির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে। তিনি বাড়ি করেছেন ভারত, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে ও আমেরিকায়। বিশেষ করে যেখানেই স্ত্রীর চিকিৎসা করেছেন, সেখানেই তিনি বাড়ি করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. জিয়া উদ্দিন।
দুদকে আইনজীবীর আবেদনের সাথে গত ২০ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘চার দেশের ৬ শহরে বাড়ি করেছেন অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি যুক্ত করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ছাত্র-জনতাকে দমন করার জন্য অন্যতম পরিকল্পনাকারীও ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ারদারের কোনো হদিস মিলছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার। তার অপকর্মের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পায়নি কেউ। প্রলয় কুমার জোয়ারদার নেত্রকোনার বারহাট্টা ঝিতন গ্রামের ধলাই নদী দখল করে ফিশারি করেছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪-৫শ জনকে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দিয়ে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এ ছাড়া এলাকায় তৈরি করেছেন আধিপত্যের সাম্রাজ্য। তবে প্রলয় কুমার জোয়ারদারের বাবার দাবি বিনা টাকায় চাকরি দিয়েছেন তার ছেলে। প্রলয় কুমার জোয়ারদার উপজেলার বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের ঝিতন গ্রামের উপেন্দ্র জোয়ারদারের ছেলে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এলাকায় পরিপাটি একটা বাড়ি ও সামান্য সম্পদ করলেও ঢাকার উত্তরায় সাততলা বাড়িসহ একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে প্রলয় কুমার জোয়ারদারের।এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে বাড়ি এবং সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। এর মধ্যে ভারতের কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লিতে বাড়ি করেছেন। তবে তার একজন নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি দিল্লিতে ডেভেলপার ব্যবসাও করেছেন। বাড়ি করেছেন ভারতে, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে ও আমেরিকায়। বিশেষ করে যেখানেই স্ত্রীর চিকিৎসা করেছেন, সেখানেই তিনি বাড়ি করেছেন।
আ. দৈ. /কাশেম