রাজধানীর পুরান ঢাকায় লালবাগ কেল্লা সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫ শতাধিক মশক ও পরিচ্ছন্নকর্মী একত্রে অংশ গ্রহণ করেছে। আজ শনিবার (১০ মে ) সকাল ৬ টাা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মী সহ ৫ শতাধিক কর্মী একযোগে লালবাগ কেল্লা সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করেছে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন। তিনি আরো জানান, অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিগণ জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।আজ শনিবার পুরান ঢাকায় লালবাগ কেল্লা সংলগ্ন এলাকায় মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া, পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সাংবাদিকদের বলেন, জনগনের ভোগান্তি দূর করা ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রোধ করে সুন্দর ঢাকা উপহার দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে জন্য ডিএসসিসি নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছে ও প্রতিটি জনগনকে সচেতনতার বার্তা পৌছে দিচ্ছে। শহরের প্রতিটি নাগরিক সচেতন হলে, নগর সুন্দর থাকবে।
এছাড়াও লালবাগে অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা ট্যুরিস্ট জোন হিসেবে গড়ে তুলব যেন বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। ঢাকায় একটি স্যূয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হচ্ছে, যেখানে এলাকার ময়লাগুলো ট্রিট করা হবে। যার ফলে কোন ধরনের দূর্গন্ধ থাকবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ঢাকার জন্মস্থান পুরান ঢাকা, এখান থেকেই ঢাকার যাত্রা শুরু হয়। পুরান ঢাকার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সমৃদ্ধ পুরান ঢাকাকে আমরা চাচ্ছি এসব স্থাপনাও নিজস্ব সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে যেন একটি নতুন ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে উঠে। সে লক্ষ্যে পুরান ঢাকার পূর্বের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
এ ছাড়াও সামনে ডেঙ্গু মৌসুমে এডিস মশা বিস্তার রোধে এখন থেকেই আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি। জনসাধারনকে সচেতন করতে তাদেরকেও অভিযানে সম্পৃক্ত করতেছি। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা সম্মিলিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি নগরী গড়ে তুলতে পারব। ঢাকাকে সুন্দর ও সবুজ নগরী গড়ে তুলতে আগামী বর্ষার মৌসুমে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।
আ. দৈ. /কাশেম