দেশের আলোচিত দুর্নীতিবাজ মানিলন্ডারিং অপরাধে অভিযুক্ত এবং দুদকের মামলার আসামি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিদেশে সাতটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতের আদেশে জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পাঁচটি বাড়ি রয়েছে নজরুল ইসলাম মজুমদারের। এছাড়া আইল অব ম্যানেন একটি ও নিউ জার্সিতে একটি বাড়ি রয়েছে তার। পাশাপাশি একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলাম মজুমদারের ছয়টি বাড়ি ও পূর্বাচলের আটটি প্লট জব্দের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। একইসঙ্গে তার ৫৫ কোম্পানির ৫৬ কোটি ছয় লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষপতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার গুলশান দক্ষিণ বানিজ্যিক ৪৭ নং প্লট ও প্লটস্থিত ১৪ তলা বিল্ডিং। যার বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকা। গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার এসই (ডি) ব্লকের ৩ নং প্লট ও প্লটস্থিত ১৪তলা বিল্ডিং। যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি টাকা।
মহাখালীতে চার কোটি মূল্যের দুই তলা বাড়ি, একই এলাকায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের চারতলা বাড়ি, মহাখালীতে আরেকটি চার কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের তিনতলা ভবন রয়েছে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
আ. দৈ./ কাশেম