ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে প্লট কেলেঙ্কারির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিনটি দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। পরে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ আত্মসমর্পণ করেন খুরশীদ আলম। পরে দুপুরে বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, খুরশীদ আলম এ মামলার ২৩ আসামির একজন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আরও অনেকে আসামি হিসেবে আছেন। এরই মধ্যে আদালতে ৩৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) খুরশীদ আলমের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম তিনটি পৃথক আত্মসমর্পণ আবেদন জমা দেন। পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ঢাকার সমন্বিত জেলা অফিস-১ এ ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করে দুদক।
দুদকের অভিযোগ, রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের জন্য পূর্বাচল নিউ টাউনের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক অঞ্চলে অবৈধভাবে ছয়টি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। বিধি অনুযায়ী এসব প্লট পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না তারা।
এরপর ২৫ মার্চ দুদক ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ছয়টি অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়। কমিশন সব আসামিকে পলাতক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এবং ৩১ জুলাই মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আ. দৈ./কাশেম