তিন দফা দাবিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। গতবছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই আহত বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি নিয়ে রাজপথে রয়েছে যোদ্ধারা। তারা অন্তর্বর্তীকালী সরকারকে উদ্দেশে পরিস্কার ভাষায় বলেছেন তাদের দাবি না মানলে গেট থেকে সরে যাবে না।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার ১২ নম্বর গেটের সামনে তারা অবস্থান নেন। এর আগে তারা জাতীয় সংসদে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
আহত জুলাই যোদ্ধা জিহাদ হাসান বলেন, সনদের ৫ ধারায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব হত্যাকাণ্ড লিখেছে, কিন্তু সব হত্যাকাণ্ড বলতে কী বুঝিয়েছে, দুই পক্ষেরই তো আছে। আর শহীদ পরিবারের সহায়তা ও নিরাপত্তা এখানে আহতদেরও যুক্ত করতে হবে। লাইনে ঘাটতি আছে। এসব জায়গায় পরিবর্তন চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা কমিশনকে আপত্তির কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখন পরিবর্তন সম্ভব না বলে জানানো হয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও বিষয়টি তুলেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এটা সরকারের কাছে তুলে ধরে পরিবর্তন করার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
এই জুলাই যোদ্ধা আরও বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের এত জোরাজুরি করে ঢুকতে হবে কেন? আমাদের কি ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করা উচিত ছিল না? ড. ইউনূস কি আমাদের রক্তের ওপরে না? তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আমন্ত্রণ করতে পারে, সে ১৫/২০ হাজার চেয়ার দিতে পারতো না?’
ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নামে জুলাই যোদ্ধাদের সংগঠন তিন দফা দাবি জানায়। সেগুলো হচ্ছে, ১. জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই আহত বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।২.আহতদের জন্য আইনগত সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।৩. এই দাবিগুলো জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনের বাইরে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম