সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর ১৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘শরৎ উৎসব’ নানান মহলের ‘আপত্তি’র মুখে শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার চিরচেনা বকুলতলায় এবার আর বাজবে না শরতের গান, উড়বে না রঙিন আলপনার ছোঁয়া। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা এবং পরে গেন্ডারিয়ার কচিকাঁচার মেলা প্রাঙ্গণ, দুটি ভেন্যুতেই গোলযোগের আশঙ্কায় আয়োজনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। আপত্তি ওঠার পর হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে হতবাক আয়োজকরা যে মঞ্চে প্রতি বছর সুর—নৃত্যে শরতের আগমন উদ্যাপিত হয়, সেখানে এবার নেমে এসেছে নীরবতার পর্দা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠানস্থলে এসে বাতিলের খবর পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আয়োজক, শিল্পী ও অংশগ্রহণকারীরা।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বলেন, ১৯ বছর ধরে চলা এই শরৎ উৎসব কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়। কিছু ভূঁইফোড় সংগঠন এসব সাংস্কৃতিক আয়োজনকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকৃতি নিজের নিয়মেই তাদের জবাব দেবে।
এ ছাড়া চারুকলার ডিন প্রফেসর আজহারুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠানটি নিয়ে অনেকের আপত্তি ছিল। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পক্ষ থেকেও আপত্তি এসেছে। তাই অনুষ্ঠানটি না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানা যায়, প্রথমে চারুকলার বকুলতলায় আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও ‘একটি গোষ্ঠীর আপত্তির’ কারণে ভেন্যু বাতিল হয়। পরে শুক্রবার সকালে গেন্ডারিয়ায় বিকল্প আয়োজন করা হলেও, সেটিও শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরে অনুষ্ঠান না হলেও আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা ফরিদা ইয়াসমিনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান বাতিলের প্রতিবাদ জানান।
আ.দৈ/ওফা