বহুল আলোচিত ও বির্তকিত ব্যবসায়ী ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার স্ত্রী সবিতা আগরওয়ালার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিললন্ডারিং এর সুনিদিষ্ট অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া এক্ই ধরনের অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান ও স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধেও পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম মামলা অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এনামুল হক খান ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভার্স ও শারমীন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী, তিনি ২০২৩ সালে বাজুস থেকে বহিষ্কার হন। অন্যদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এদিকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার স্ত্রী সবিতা আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২১৩ কোটি ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া এনামুল হক খান দুই কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে তার স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ১৬৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম