ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, এই সংস্থায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা এবং সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি সব মাস্টার রোল কর্মচারীকে স্কেল ভুক্ত করা হবে। তাদের সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিবহন চালকদের সংকট দূর করতে ২০০ জন দক্ষ গাড়ি চালক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করা হবে।আর এসব নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশের নামকড়া প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় 'এমএসটিআই' কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জনবল বাড়াতে আউট সোরসিং পদ্দতিতে আরো কর্মচারী নিয়োগ করা হবে।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দ এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই এই অুনষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিএনসিসিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এসব কথা বলেন।
আনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলীব্রিগেঃ জেনাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন. এসইউপি.এসপিপি. এনডিসি, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম (ই).পিএসসি.বিএন,প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ বরকত হায়াত,প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান,উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মফিজুর রহমান ভুঁইয়া, ডিএনসিসিতে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠন 'অ্যাস্কেভেঞ্জার্স এন্ড ওয়ার্কাস ইউনিয়নের' সাধারণ সম্পাদক জামামল হোসেন, পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আনুষ্ঠানটি পব্রিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এবং সবার জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ অভিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনে নিয়োগ পাওয়া মাস্টার রোল কর্মচারীরা এতোদিন নানা সুযোগ সুবিদা থেকে বঞ্চিত ছিল। বলতেগেল দীর্ঘ ২৫/২৬ বছর চাকরি করেও মাস্টার রোল কর্মচারীরা স্কেলভুক্ত হতে পারেননি। অবশেষে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে একযোগে ৩৫৩জন মাস্টার রোল কর্মচারীকে স্কেলভুক্ত করা হয়েছে এবং আরো দেড় শতাধিক কর্মচারীকে স্কেলভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে নগর ভবনে ক্যান্টিন চালু করা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পৃথক ভাবে আবাসন (কোয়াটার) নির্মাণসহ বিভিন্ন জানানো হয়। পরে প্রশাসক কর্মচারী নেতাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে উপস্থাপন করতে নির্দেশনা দেন।
আ. দৈ./কাশেম