গাজীপুরের টঙ্গীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার ফাইটার ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শনিবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাইমের শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
স্বজনরা জানান, খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ২৪ আগস্ট ১৯৮৮ সালে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোল্লারটেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং এক সন্তানের জনক। তার বাবা খন্দকার মোজাম্মেল হক ও মা দেলোয়ারা বেগম।
গত ২২ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারজন দগ্ধ হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর দোকান কর্মচারী আলিন হোসেন বাবু। সর্বশেষ দেশের জন্য আত্মত্যাগ করলেন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর জান্নাতুল নাঈম।
সর্বদা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন ফায়ার সার্ভিসের বীর সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন। সর্বশেষ এই গৌরবময় আত্মত্যাগের মিছিলে যোগ হলো খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের নাম।
আ.দৈ/ওফা