জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৫টায়। তবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে বিকেল সাড়ে ৬টায়ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘসারি দেখা গেছে। কেন্দ্রটির নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, যতক্ষণ শিক্ষার্থীরা আসবে, ততক্ষণ ভোট নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ২১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তফসিলের নিয়মানুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করার কথা। তবে কোনো শিক্ষার্থী ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ালে তার ভোট না নেওয়া পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
কবি নজরুল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, যতক্ষণ ভোটার আসবে, ভোটগ্রহণ করা হবে। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, দরকার হলে আমরা সবার শেষে ভোট জমা দেবো। নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য, তারা যতক্ষণ আসবে আমরা ভোট নিতে বাধ্য।
এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১, রোকেয়া হলে ৯৫৬, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র।
ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৫০০ পুলিশ, সাত প্ল্যাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্ল্যাটুন আনসার ক্যাম্পাসের পরিসীমায় মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করবেন।