দীর্ঘ সাত বছর পরে চোরাকারবারী কর্তৃক ৬০ হাজার শলাকা সিগারেট চোরাচালানের মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন করেছে সিআইডি। চোরাকারবারিতে জড়িত থাকায় চট্টগ্রাম সিআইডি কর্তৃক ১জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
গ্রেফতারকএতর নাম মোহাম্মদ হাসেম (৪২)। । গত ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলাধীন পটিয়া থানার শান্তিরহাট নামক এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ ২০১৮ সালে মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করা কালে কসমেটিকসের আড়ালে চোরাচালানকৃত অবৈধ সিগারেট কুরিয়ারের মাধ্যমে আনয়ন করছে মর্মে সংবাদের ভিত্তিতে এস.এ পরিবহন, কাজীর দেউরী শাখায় অভিযান চালান। সেখানে একই প্রতিষ্ঠানের কক্সবাজার শাখা হতে আসা ২টি বুকিং মেমোতে মোট তিন বস্তা অবৈধ বিদেশী সিগারেট জব্দ করেন।
উক্ত বুকিং মেমো দুটিতে প্রেরকের তথ্যে একটি দোকানের মেমো দেওয়া হয় এবং প্রাপকের তথ্যে রিয়াজউদ্দিন বাজার, চট্টগ্রামের একটি দোকানের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার ছিল। উক্ত চালানগুলোর বৈধ কাগজপত্র নিয়ে কেউ মালামাল দাবী না করায় ডিবি, সিএমপি, চট্টগ্রাম,বাদী হয়ে মেমোতে থাকা প্রেরক ও প্রাপকের তথ্যের ভিত্তিতে ০৪টি দোকানকে এজাহারনামীয় আসামী করে কোতোয়ালী থানায় সূত্রোক্ত মামলাটি রুজু করে।
মামলাটি প্রথমে সিএমপি, ডিবি পুলিশ তদন্ত করে। পরে সিআইডিতে হস্তান্তর হলে সর্বমোট আট জন তদন্তকারী অফিসার তদন্ত করেন। তদন্তকালীন জানা যায়,বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানী তাদের দীর্ঘদিনের পুরাতন অব্যবহৃত সিম যা ২য়/৩য় দফায় অন্য গ্রাহকের নিকট বিক্রয় করে থাকে, এরকম একটি সিম আসামী ক্রয় করে তা দিয়ে চোরাচালানের অপরাধটি সংঘটিত করে। ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট অপারেটর প্রতিষ্ঠান হতে সিমের
রেজিষ্ট্রেশনকৃত ব্যক্তি ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, ঠাকুরগাঁও ক্যাম্পের একজন কুক এর নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ ০৭ বছর যাবত তদন্তকারী অফিসাররা উক্ত ব্যক্তিকে (ঘটনায় জড়িত নয়) সন্দিগ্ধ হিসাবে তদন্ত কার্যক্রম চলমান ছিল।
পরবর্তীতে সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলার অফিসার ফোর্সদের সমন্বয়ে গঠিত টিমের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে মূলতবী থাকা আদালতের আদেশনামা অনুযায়ি অপারেটর প্রতিষ্ঠানেরর আর্কাইভ (ডেটা সার্ভার) ২০১৭ থেকে ২০১৮ (মামলার ঘটনার সময়কার) সময়কালীন অপরাধে ব্যবহৃত সিম নাম্বারটির এর ব্যবহারকারী চোরাকারবারী আসামী মোহাম্মদ হাসেম এর তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত আসামীর প্রোফাইল এবং অবস্থান সম্পর্কে দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর তাকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।