ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে র্যাব-৯, সিপিসি-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ময়না হত্যা মামলার ১নং পলাতক আসামী হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের পুনিয়াউট (নয়নপুরে) এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের আতকাপাড়া এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে ।
উল্লেখ, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১৩ ফ্রেরুয়ারী বাড়ির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনাকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের সাথে এলাকার লোকজনের তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ মারামারি হয়। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকে।
একই দিনে আানুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় ভিকটিম পরিবারের জরুরি কাজে মনিপুর বন্দর বাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হলে ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র সকল বিবাদীগণ ভিকটিমের উপর এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। মারামারির এক পর্যায়ে আসামী হোসেন ভিকটিম ময়নাকে খুন করার উদ্দেশ্যে বল্লম দিয়ে বুকের বাম পাশে গুরুতর আঘাত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীর সহায়তায় ময়নাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। তারই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।