বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ৫ আগস্টের পর অনেকে লোভে পড়ে গেছে। টেন্ডার-ট্রান্সফারের জন্য কাউকে জিম্মি করে পার পেয়ে যাবেন ভাবলে সেটা হবে দুরাশা। এভাবে কিছু অর্জন করলে তার পরিণতি হবে ডাস্টবিন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে যুব সংহতি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানে তরুণ-যুবাদের স্বপ্ন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির খতিয়ান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল বলা যায় কি না, সন্দেহ আছে। তারা সেই অধ্যায় তৈরিই করেনি, পরিবেশ রাখেনি। তারা দুর্নীতি-দুঃশাসন চালিয়ে, দেশের মানুষকে জিম্মি করে নিঃশেষ করে দিয়েছে। গণতন্ত্র কিংবা দেশ নয়, দুর্নীতি আর ক্ষমতাই ছিল তাদের মূল প্রায়োরিটি।
তিনি বলেন, মানুষের কোনো কিছু রিসিভ করার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। ১৭ বছরের অত্যাচার, গুম-খুন থেকে ইচ্ছে করলেই আমরা বের হতে পারছি না। যারা অকারণে রাজনীতি করে, তারা এটাকেই রাজনীতি বলে মনে করছে। তবে এটা আমাদের রাজনীতি নয়। ১৭ বছরে আমরা কতটা নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তা ৩৬ দিনের জার্নি বুঝিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর গুণগত মান পরিবর্তন করা জরুরি।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নতুন যে রাজনৈতিক দল এসেছে, সেই দলের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসা উচিত। পরামর্শ দেওয়া উচিত তাদের। এই সরকার কতটুকু সংস্কার করতে পারবে, এসব নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করছে না।
জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার দরকার বলে জানান এ্যানি।
অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার অভ্যুত্থানের তাৎপর্য ধারণ করতে পারেনি। আমরা শর্তহীনভাবে বর্তমান সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিলাম, কিন্তু সরকার তা বুঝতে পারেনি। তারা মনন ও দূরদর্শিতার অভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার একটা পক্ষ অবলম্বন করেছে। পথভ্রষ্ট করেছে তরুণদের। জনগণের ওপর ভর করার বদলে অল্প কিছু তরুণদের ওপর ভর করেছে। তাতে বিতর্কিত হয়েছে। সাইফুল হক বলেন, এই এক বছরের ভেতর এত বিতর্কিত হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়াটা ইতিবাচক।