নোয়াখালী ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলোচিত সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭ টায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নং আমলী আদালতে সুধারাম মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন।
নোয়াখালীর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টায় চট্রগ্রামের খুলশি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে নগদ দেশি-বিদেশি অর্থ জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ১৯৬২ সালের ৯ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া এবং মাতা রৌশন আরা বেগম।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত নোয়াখালী-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান একরামুল।
একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী কিছুদিন আগে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তার ভাগিনা জহিরুল হক রায়হান ছিলেন কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র। তার সৎ ভাই হাজী ইব্রাহিম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। একরামুলের আরেক ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াস কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
একরামুলের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি বিষ্ফোরক ও অপহরণ মামলা, কবিরহাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা সহ মোট ৪ টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া ঢাকার একটি থানায় ও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আ. দৈ. /কাশেশ /সাদ্দাম