যুক্তরাজ্যের মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন (Markfield Institute of Higher Education, UK)-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর সই করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন-এর পক্ষে রেক্টর ড. জাহিদ পারভেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের সন্নিকটে যুক্তরাজ্যভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইউকে'র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশন লেস্টারের পরিচালক ফারুক মুরাদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন ও উপাচার্যের সহধর্মিণী আমেনা খাতুন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,"এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম জোরদার হবে। এর মধ্যে রয়েছে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষার্থী বিনিময়, ফ্যাকাল্টি বিনিময় ও যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।"
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও রেক্টর ড. জাহিদ পৃথক উপস্থাপনার মাধ্যমে তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তাঁর উপস্থাপনায় ইবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর ওপর আলোকপাত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির গত ৪৬ বছরের পথচলায় নানা ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন,"বর্তমানে নয়টি অনুষদের অধীনে ৩৮ বিভাগের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে চারটি বিভাগ ইসলাম ভিত্তিক উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরভাবে অন্যান্য সাধারণ বিভাগের উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রমও চালু রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন,"সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের মধ্য দিয়ে ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠনের যে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পরিশেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন পাঁচটি হল নির্মাণ ও শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণসহ তাঁর সময়ে নেওয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন তিনি।"
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এর মধ্যে ছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ও কিউব পাবলিকেশন্সহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কার্যক্রম।
আ. দৈ./কাশেম